উন্মুক্ত হচ্ছে হাইরঝিল-বেগুনবাড়ির মন্বয় উন্নয়ন প্রকল্প ভ্রমণের নতুন মাত্রা নিয়ে। এটা নিঃসন্দেহে একটা ভাল পদক্ষেপ যা বিশেষ করে নগর বাসীর ক্লান্তি দুরহ করতে সহায়ক হবে এবং আমাদের পর্যটন-এ নতুন মাত্রা যোগ করবে। হাতিরঝিল নামকরেন কারন হলও- ব্রিটিশ রাজার ধারাবাহিকতায় ভাওয়ালের রাজাদের পোষা হাতি রাখা হতো পিলখানায়। সেসময় গোসল করার জন্যে
হাতি ঝিলে যেতে ব্যবহার করতো এখানকার এলিফ্যানট রোড, হাতিরপুল এলাকা।
জানিনা এই এলাকার ইতিহাসের সাথে ট্যুরিজ্ম উন্নয়ন কত টুকু মিল রয়েছে, তবে নিউজ থেকে যতো - টুকু দেখলাম তেমন কোন মিল পেলাম না ইতিহাসের সাথে , কারন এখানে কোন theme নেই যা ঐ ইতিহাস কে দারণ করে। ইতিহাসের সাথে মিল রেখে ট্যুরিজ্ম প্লেস বানালে টুরিস্টদের কাছে এটা আরও আকর্ষণীয় হতো । হাতির কোনও আইকন বা সিম্বল বানানো যেতে পারে যা টুরিস্টদের এই ঝিলের কথা মনে করিয়ে দেবে।
যাই হউক, তারপরও সরকারকে ধন্যবাদ রাজধানীর মধ্যে এমন একটা যায়গা উপহার দেবার জন্যে ।
তবে হ্যাঁ, সরকারকে এখানেই থেমে থাকলে হবেনা, এই যায়গা কে রেস্পন্সিবল ট্যুরিজ্ম –এর মাধ্যমে ডেভেলপ করতে হবে, তবেই হাতিরঝিলের ট্যুরিজ্ম স্বপ্ন পূরণ হবে।
কারণ Responsible Tourism হল এমন একটি প্রকিয়া যার মাধ্যমে টুরিস্ট , ট্যুর অপারেট্যুর, লোকাল সবাই
ট্যুরিজ্ম প্লেস রক্ষা করতে দায়ী। সারমর্ম নিম্ন্রুপঃ
· অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সমাজের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমায়।
· ভালো অর্থনীতির যোগান
দেয় লোকাল জনগণের জন্যে যা ভাল জীবন যাত্রা বয়ে আনে।
· পসিটীভ দারনা বয়ে আনে ট্যুরিজ্ম প্লেস রক্ষা -এর ব্যাপারে।
· টুরিস্টদের অধিক বিনোদনের বেবস্তা করা, ট্যুরিজ্ম activies add করে।
· ট্যুরিজ্ম কারিং কাপাসিটী মা্নেজমেন্ট( ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজ্ম অরগানাইজেসন অনুসারে, ট্যুরিজ্ম কেরিং কেপাসিটী হলও- ম্যাক্সিমাইজ ট্যুরিস্ট সংখ্যা যা একই সময়ে যেতে পারবে-পরিবেশ, অর্থনীতি এবং জায়গার কোন ক্ষতি করা ছাড়া)
উপরোক্ত সুবিদা ছাড়াও আরও সুবিদা বয়ে আনে এই ট্যুরিজ্ম। সরকারকে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা দরকার, আর তা না হলে , এই হাতিরঝিল কে রক্ষা করা, বিশেষ করে ট্যুরিজ্ম প্লেস হিসাবে কঠিন হয়ে পরবে। যেমন আমাদের বুড়িগঙ্গা নদী ও তার তীরে আহসান মঞ্জিল যা হতে পারতো বেস্ট টুরিস্ট আকর্ষণ কিন্তু পরিবেষ গত কারণে ওখানে ভমণ করা দুরূহ।
No comments:
Post a Comment